করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করলেও আপাতত লকডাউনের চিন্তা করছে না সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘তেমন অবস্থা দেশে নেই’।
সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিব বলেন, কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আলোচনা হয়েছে; যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশিরভাগ দেশ লকডাউনে গেছে। ফ্রান্সে এরইমধ্যে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
‘ফ্রান্সে লকডাউন দেয়ার পর সব লোক প্যারিস ছেড়ে দিচ্ছে। এসব বিবেচনা করলে ওই দেশের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’
গত মার্চে করোনার সংক্রমণ ধরা পরার পর ওই মাসের শেষ দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ। লকডাউন ঘোষণা না করলেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি।
রাজধানীর ওয়ারীতে রেডজোন চিহ্নিত করে এর আগে লকডাউন করা হয়েছিল। ছবি: সাইফুল ইসলাম
যদিও এতে অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। মানুষের আয় কমে যায়, চাকরি হারায় লাখ লাখ মানুষ। আর এক পর্যায়ে সরকার ছুটি তুলে নেয়ার পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি।
করোনার সংক্রমণও কমে এসেছে আগের তুলনায়। যদিও প্রধানমন্ত্রী আগামী শীত মৌসুম নিয়ে সতর্ক করেছেন। মাস্ক পরতে কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছেন।
সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে ভাইরাসের যে চিত্র, সবাই মাস্ক ব্যবহার করলে কমফোরট্যাবল জোনে থাকতে পারব।
‘প্রধানমন্ত্রী পরিস্কার নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেন সার্ভিস না পাওয়া যায়। সব অফিসে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যে কোনো পাবলিক প্লেসেই মাস্কের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা থাকবে।’
সচিব বলেন, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন বা লিগ্যাল যেভাবেই হোক এটাকে নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ কোথাও না আসে। এটা অলরেডি সব জায়গায় বলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সব সচিব, ডিপার্টমেন্ট, নন গভর্নমেন্ট সবাইকে বলে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।’
মাস্ক ছাড়া কেউ মসজিদেও ঢুকতে পারবে না সচিব বলেন, কেউ মাস্ক ছাড়া মসজিদে গেলে তাকে 'পে' করতে হবে।