হবিগঞ্জের বাহুবলে ফোন করে বাড়িতে ডেকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ‘প্রেমিকা’ মাহফুজা আক্তার লিজা ও তার মাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বাহুবল থানায় মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র ফয়সল মিয়ার মা রাবিয়া খাতুন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলমগীর কবির জানান, মামলায় মাহফুজা আক্তার লিজা, তার মা জাহানারা আক্তার লিপিসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রোববার রাত সাড়ে ১১টায় লিজার ফুফাতো ভাই সালাহউদ্দিন ও চাচাতো ভাই মঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক।’
পুলিশ জানায়, বাহুবলের দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সঙ্গে ‘প্রেমের’ সম্পর্ক ছিল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যাহর ছেলে ফয়সল মিয়ার।
শুক্রবার রাতে ফয়সলকে ফোন করে বাড়িতে ডাকে লিজা। এসময় লিজার স্বজনরা চোর বলে ফয়সলের হাত-পা খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করেন।নির্যাতনের ভিডিও করে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
পুলিশ ফয়সলকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন স্বজনরা।আহসান উল্ল্যাহ দাবি করেন, নির্যাতনে ফয়সল অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকেই চিনতে পারছে না। মাঝে মাঝে চিৎকার করে উঠছে।
ফয়সলের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানান তার বোন হানিফা আক্তার।