করোনাভাইরাসে আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
রোববার থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে ২৫ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৭৩৬ জন শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ১৭ জনের আর শনাক্ত হয় এক হাজার ৫৬৮ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক দিনের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে আট জন। আর আক্রান্ত বেড়েছে ১৬৮ জন।
আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১২.৫০ শতাংশ। সেটাও বেড়ে হয়েছে ১৩.৪৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে পাঁচ হাজার ৯৬৬ জনে। আর মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১০ হাজার ৯৮৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে আরও এক হাজার ৯৬১ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ২৭ হাজার ৯০১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৯১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭০২টি নমুনা।
এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
করোনা শনাক্ত বিবেচনায় দেশে সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ৩০ বছরের ওপরে দুই জন, ৪০ বছরের উপরে দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয় জন ও ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন।
মারা গেছে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে তিন জন, খুলনায় দুইজন, সিলেট তিনজন ও রংপরে একজন। এরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। শনাক্তের সংখ্যা চার লাখ ছাড়ায় ২৬ অক্টোবর।
এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
৩০ জুন দেশে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ১৮ তম স্থানে বাংলাদেশ। আর মৃতের সংখ্যায় বিবেচনায় রয়েছে ৩১ তম অবস্থানে।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে চার কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ৩৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ ১৫ হাজার ২০৬ জনের। সুস্থ্য হয়েছে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৫৪ হাজার ২৩১ জন।