সিলেটে রায়হান আহমেদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া এএসআই আশেক এলাহীকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রিমান্ডে ‘হাইপার টেনশনে’ অসুস্থ হয়ে পড়লে আশেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ওই দিন সকালে তাকে সিলেট নগরের রিকাবীবাজারে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
কমিশনার তাহের আরও জানান, রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মুহিদুল ইসলামসহ আট জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের দুজন পুলিশ হাসপাতালে; অন্যরা বাসায় আছেন।
১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরের কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেদিন কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির কথা তারা শোনেননি। পাশাপাশি ওই এলাকার ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ফুটেজে যুবককে গণপিটুনির কোনো প্রমাণই মেলেনি বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম।
রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি সিলেট জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটের এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারীর কাজ করতেন।
পরিবারের দাবি, ফাঁড়ি থেকে ফোন দিয়ে রায়হানকে ছাড়িয়ে আনতে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়। রায়হানের স্ত্রী ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই দিনের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে এখনও প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক।
১৪ অক্টোবর এ মামলার তদন্তভার পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।