মহানবী (সা.)-এর কার্টুন প্রদর্শনের ঘটনায় ফ্রান্সের পণ্য বর্জন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখোর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সমাবেশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই সমাবেশ শেষে ফ্রান্স দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। একে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররমের সামনে জড়ো হতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে বন্ধ করে দেয়া হয় কদম ফোয়ারা মোড়, বিজয় নগর মোড়, গোলাপ শাহ মাজার ও মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা। এসব এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ।
এদিকে সমাবেশের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় যানজট দেখা গেছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের ঢাকা মহানগরী সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
সমাবেশে বাবুনগরী বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি জানাই যারা আমাদের নবীর সাথে বেয়াদবি করবে, তাদের বিরুদ্ধে সংসদে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করতে হবে। ফ্রান্সের সাথে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বাংলাদেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করতে হবে।
‘জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানাব, মুসলিম দেশগুলো যেন ফ্রান্সের সাথে কোনো রকম সম্পর্ক না রাখে, সেই তৎপরতা যেন জাতিসংঘের নেতারা চালায়।’
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ফ্রান্সের ক্ষমা চাইতে হবে। ২০০ কোটি মুসলমানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, বাংলাদেশে ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ করে দিন। সরকার যদি আমাদের এই দাবি না মানে তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কোনো মূর্তি স্থাপন করা যাবে না। মূর্তিগুলো অপসারণ করতে হবে।