ফোন পেয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান প্রেমিক। রাতে বাড়ির পাশে দেখা করতে গেলে মেয়ের স্বজনরা চোর সন্দেহে ধরে ফেলে। এরপর খুঁটিতে বেঁধে করা হয় নির্যাতন। সেই নির্যাতনের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে। সেদিনের করা ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়েছে ভাইরাল।
স্বজনরা বলছেন, দ্বিমুড়া গ্রামের মেয়ে মাহফুজা আক্তার লিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের ফয়সল মিয়ার।
ফয়সলকে নির্যাতনের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজে।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ফয়সালকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সল মিয়া নামে ওই যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। এ সময় ফয়সল বাঁচার জন্য আকুতি করছেন। বারবার আল্লাহ অল্লাহ বলে চিৎকার করছেন। কিন্তু এরপরও চলে নির্যাতন।
ফয়সলের বাবা আহসান উল্ল্যাহ বলেন ‘লিজা আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে তাদের বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা তাকে বেঁধে এমন বর্বর নির্যাতন করেছে। এ ব্যাপারে আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ফয়সলের বোন হানিফা আক্তার বলেন ‘ফয়সল মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে চিনতে পারছে না। প্রতিনিয়ত তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে।’
বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি ছেলেটি মেয়েটিকে পছন্দ করত। কিন্তু মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করত না। ঘটনার দুইদিন আগে নির্যাতনের শিকার ছেলেটি মিষ্টি নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যায়। মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তিনি জানান, ঘটনার দিন ছেলেটি মেয়ের বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটাহাটি করছিল। এ সময় মেয়ের স্বজনরা তাকে ধরে হাত-পা বেঁধে মারপিট করছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানান ওসি।