শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা মামলায় বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জুবেদ আলীকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত রোববার গভীর রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খাদেম জুবেদ আলীসহ রোববার মধ্যরাতে তিন মামলায় আরও পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতার আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জন।
ওসি জানান, খাদেম শনিবার থেকেই থানায় ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়। রোববার আগের পাঁচ জনকে আদালতে তোলা হয়। তাদের রিমান্ড শুনানি সোমবার হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি পরিবর্তন করে মঙ্গলবার করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান ছিলেন শহীদুন্নবী জুয়েল।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয় তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। পরিচিতজনরা বলছেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন।
- আরও পড়ুন: বুড়িমারীর উন্মত্তরা ‘বহিরাগত’
বৃহস্পতিবার আসরের নামাজ পড়তে শহীদুন্নবী জুয়েল বুড়িমারী কেন্দ্রীয় মসজীদে যান। সেখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কোরআন অবমানার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। খাদেম জুবেদ আলীর সঙ্গেই তার প্রথম বাকবিতণ্ডা হয় বলে শনিবার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন জুবেদ।
মসজিদের মধ্যে সেদিন কী ঘটেছিলে তার প্রত্যক্ষদর্শী এই জুবেদ আলি। তিনিই প্রথম কোরআন অবমাননার গুজব ছড়ান বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তিনি পরে সে বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন, শহীদুন্নবী কোরআন অবমাননা করেননি।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা শনিবার নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, জুবেদ আলী এক এক সময়, এক এক ধরনের কথা বলছেন।
খাদেম জুবেদ আলী শনিবার নিউজবাংলাকে আরও জানান, মসজিদে শহীদুন্নবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর তাকে মারধর শুরু করেন আবুল হোসেন। পরে তিনি বাজারে গিয়ে প্রচার করেন, শহীদুন্নবী কোরআন পদদলিত করেছেন।
- আরও পড়ুন: শহীদুন্নবীকে মারধর করা আবুল হোসেন কোথায়