মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে সরকার শুল্ক কমানো কিংবা পুরোপুরি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক অনেক বেশি। সিটি করপোরেশনের মেয়ররা শুল্কমুক্ত সুবিধায় অথবা কম শুল্কে আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টা সুরাহা করা হবে। এ জন্য মেয়রদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিতেও বলা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আগে মশা নিধনে বিদেশ থেকে একটামাত্র কোম্পানির ওষুধ আনা হতো। সেই মনোপলি ভেঙ্গে দিয়েছি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে কারও কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না।’
এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি জারি আছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার ওপরেও জোর দেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগামীকাল সোমবার থেকে ১০ দিনের একটা ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি জানায়, মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড নোভালিউরন ব্যবহার শুরু করেছে। এটা একই সঙ্গে সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও কার্যকর। একবার ব্যবহারে এটি দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে।