পেঁয়াজ এখন রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনি গ্রামে ‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের সংকট চলছে। আমরা পেঁয়াজে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না। পেঁয়াজ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ মন্তব্য করে তিনি বলেন, উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের প্রদর্শনী প্লটে হেক্টর প্রতি প্রায় ১৯ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে উচ্চফলনশীল এ জাত সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।
কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষক পান না বলেও মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক। বলেন, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলা জাতীয় ফসল চাষে চার শতাংশ সুদে কৃষকদের ঋণ দেয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষক পান না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব ঋণ নিয়ে অন্য কাজে লাগান।
কৃষিঋণ যাতে প্রকৃত কৃষক পান কমিটির মাধ্যমে তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। বেশি দিন মজুত করে রাখা যায় না। সহজে মজুত করে রাখা গেলে সংকট হতো না। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান প্রমুখ।