বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সড়ক দুর্ঘটনা হত্যার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে’

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:০৮

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অদক্ষ গাড়ি চালক, বেপোয়োয়া বাস চালনা, অনুপযোগী রাস্তা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি ইত্যাদি কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে প্রতিদিন এসব ঘটনা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি হত্যা- তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন হত্যার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীবসহ দেশের আলোচিত ২১টি জায়গায় ২৯ জনের গাড়িচাপায় মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘সড়কে এত মৃত্যু এখনও আমাদের সচেতন করে না। তাহলে কবে সচেতন করবে?’

দুই বছর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পায়েলকে হত্যা করে সেতুর উপর থেকে লাশ ফেলে দেয়া হয়।

ওই ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জনিকে রোববার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

বিচারক ২৬ পৃষ্ঠার রায়ে বলেছেন, সড়কে প্রতিদিন প্রাণ দিচ্ছে বহু মানুষ। কোনোভাবেই যেন মৃত্যুর মিছিল থামছে না।

পায়েল হত্যার প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, ‘এ রকম অনেক পায়েল মারা যায়। যাদের কথা আমরা জানতে পারি না।’

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অদক্ষ গাড়ি চালক, বেপোয়োয়া বাস চালনা, অনুপযোগী রাস্তা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি ইত্যাদি কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে প্রতিদিন এসব ঘটনা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি হত্যা- তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন উঠেছে। অদক্ষ চালকের কারণে এই মৃত্যু বাড়ছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকেও পিষে দিতে এরা দ্বিধান্বিত হচ্ছে না।’

আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেয়ার কারণ হিসেবে বিচারক বলেছেন, ভিকটিম পায়েল উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগের জন্য নিজেকে তৈরি করছিল। সেই মূহূর্তে বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের নির্মমতার শিকার হয়ে তাকে অকালে প্রাণ দিতে হয়। তার মৃত্যুতে পরিবার শোকে নির্বাক ও হতাশায় নিমজ্জিত। ছেলে হারানোর এই শোক কোনোভাবেই সামলানো সম্ভব নয়। নিকৃষ্ট খুনের জন্য সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হলো।

চারটি সুপারিশ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চারটি সুপরিশ করা হয়েছে রায়ে। এগুলো হলো:

১. গাড়ি চালানোর আগে গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের ডোপ টেস্ট করতে হবে। গাড়ি ছাড়ার কাউন্টারে, বিরতির স্থানে এবং গাড়ি গন্তব্যে পৌছানো পর- এই তিনটি জায়গায় ডোপ টেস্ট করতে হবে।

২. গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের যাত্রীদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে। গাড়ি চালনা ও যাত্রীদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে তাদের কাউন্সেলিং ও উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. মহাসড়কে প্রতি তিন কিলোমিটার পর পর চালক ও যাত্রীসহ সবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্রি আধুনিক বাথরুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. মহাসড়কে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন চলাচল মনিটর করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর