করোনা মহামারির মধ্যে বিদেশিরা পবিত্র ওমরাহ পালন শুরু করেছেন।
তৃতীয় ধাপের প্রথম দিন রোববার থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। আর ৬০ হাজার মুসল্লি মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ওমরাহ শুরু হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে শুধু সৌদি নাগরিক এবং প্রবাসীরা অনুমতি পান। এখনো কোনো ওমরাহ পালনকারী করোনা আক্রান্ত হননি। তারপরও সতর্ক অবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরা যাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
ওমরাহর তৃতীয় ধাপের প্রথম পর্বে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, লেবানন, ওমান, সুদান, তিউনিসিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিকরা ভিসা পেয়েছেন।
অন্য দেশও শিগগিরই ভিসা পাবে বলে জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশে করোনার প্রকোপ কমেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে, তারা অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখনো ওমরাহ যাত্রী পাঠানোর বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম নিউজবাংলাকে বলেন, সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের অনুমোদিত স্থানীয় ৫৩১টি ওমরা কোম্পানি ওমরাহ যাত্রীদের সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশ থেকে আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সব ব্যবস্থা হয়েছে। করোনা বিষয়ে সব ধরনের সাবধানতা মেনে চলতে হবে।
ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মসজিদুল হারামের ভেতর-বাইরে ও মাতাফসহ পুরো কাবা এলাকায় চার হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। প্রতিদিন স্প্রে করা হচ্ছে এক হাজার ২০০ লিটার জীবাণুনাশক।