বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পর্দার আদেশ কেন আদালত অবমাননা নয়?’

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:২০

২০১০ সালে উচ্চ আদালত এক রায়ে বলে, কাউকে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক এই আদেশ অমান্য করেছেন বলে তার কাছে পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে।

নিজ কার্যালয়ে পর্দা করার নির্দেশ জারির ঘটনায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিমের অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান নোটিস পাঠিয়েছেন। এতে তিন দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, ২০১০ সালে হাইকোর্ট এক আদেশে বলে, কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না।

 

‘হাইকোর্টের এ আদেশ অমান্য করে আপনি আদালত অবমাননা করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।…‘তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানাবেন। অন্যত্থায় আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে’- বলা হয় নোটিসে।

কার্যালয়ে পর্দা করার এই নোটিসটি জারি করেছিলেন আব্দুর রহিম

নোটিসটি পাননি জানিয়ে আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পেলে আদালত অবমাননা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।’

গত ২৮ অক্টোবর আব্দুর রহিম তার কার্যালয়ের পুরুষ কর্মীদের গোড়ালির ওপরে এবং নারী কর্মীদের গোড়ালির নিচে কাপড় ও হিজাব পরার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেন। পরদিন গণমাধ্যমে এটি ফাঁস হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।

 

বাংলাদেশের সরকারি চাকরি আইনে পোশাকের কথা বলা নেই। তবে এক যুগ আগে উচ্চ আদালতের এক আদেশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে কাউকে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য না করার আদেশ দেয়া হয়। বলা হয়, মানুষ কী পোশাক পরবে, এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত।

আব্দুর রহিম এই নির্দেশ জারি করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দেয়।

আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে বলেন, তিনি তার ‘ধর্মীয় অনুভূতি থেকে’ এই নোটিস জারি করেন। তবে কাউকে তিনি বাধ্য করবেন না।

সমালোচনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিস জারির পর পর্দা করার নোটিস প্রত্যাহার করে নেন আব্দুর রহিম

 

অবশ্য রাতে আরেক আদেশে নোটিসটি প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমাও চান আব্দুর রহিম। নোটিসে তিনি বলেন, ‘উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সকলের কাছে এই অনিচ্ছাকৃত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সেই সঙ্গে গোটা জাতির কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এই ভুল হবে না বলে অঙ্গীকার করছি।’

 

মন্ত্রণালয়ের নোটিসের কী জবাব দিয়েছেন জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন, ‘তিন কার্যদিবস আজকে থেকে শুরু হয়েছে। সামনে এখনও দুই দিন আছে। এই দুই দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর