কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একই পরিবারের তিন জনকে হত্যা মামলার আসামি কেওয়া খাতুন ওরফে কেওয়ার মা, নাজমা ও আল-আমিনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুন নুর এ আদেশ দেন।
আদালতের পরিদর্শক মো. হাম্মাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে পুলিশ শনিবার ওই আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে।
ওই দিন প্রধান আসামী দ্বীন ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
রোববার তিন আসামির শুনানির দিন ঠিক করে শনিবার তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।
মামলার চার আসামির মধ্যে কেওয়ার মা খুন হওয়া আসাদের মা, প্রধান আসামি দ্বীন ইসলাম ছোট ভাই, নাজমা আক্তার বোন আর আল আমিন ভাগ্নে।
২৯ অক্টোবর রাতে কটিয়াদীর জামষাইট গ্রামে বাড়ির আঙিনা থেকে মুদি দোকানি আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী পারভীন ও ছোট ছেলে লিয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আসাদের চার স্বজনকে আটক করে পুলিশ।
হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোনাহর আলী জানান, আসাদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার ছোট ভাই দ্বীনের বিরোধ ছিল। ২৮ অক্টোবর রাতে আসাদ, তার স্ত্রী ও ছেলে নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
৩০ অক্টোবর রাতে আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল কটিয়াদী থানায় মামলা করেন।
- আরও পড়ুন: বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা তিনজন, মা-ভাই আটক
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, আঘাতের কারণেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তিন জনকে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, আটক চারজনসহ নয় জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।