ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শনিবার দুপুর ২টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। হাসপাতালে প্রায় দেড়শ ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এর আগে মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের ‘অনৈতিক ও হীন কর্মকাণ্ডের’ বিচারসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে হাসপাতাল পরিচালককে স্মারকলিপি ও কর্মবিরতি পত্র দেয় ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
হাসপাতাল পরিচালক বরাবর শেবাচিম ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্মারকলিপি ও কর্মবিরতি পত্র। ছবি: নিউজবাংলা
দাবিগুলো হলো- ডা. মাসুদ খানের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে হয়রানি বন্ধ করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার করা মানহানির বিচার করা।
সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খান গত ২১ অক্টোবর সংগঠনের সভাপতি সজল পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও কলেজের শিক্ষার্থী অভির নাম উল্লেখ করে আট-দশ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ করেন পরিচালক বরাবর।
২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার বিরুদ্ধে মেডিকেলের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন বাণিজ্যের পাল্টা অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
মাসুদ খান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নামে মামলা করেন। এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ২৩ অক্টোবর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মামলার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে হাসপাতাল পরিচালকের আশ্বাসে আড়াই ঘণ্টা পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি।