বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্মিলিত কাজ করলে দারিদ্র্য থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:০৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে, তারা যা কিছু পান তার মূলে কারা… এই গ্রামের মানুষগুলোই তো। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই তো এরা অর্থ উপার্জন করে। তাদের জন্য আপনারা কিছু করেন।’

সরকারি আমলাদের নিজস্ব অর্থায়নে এবার ঘর পেলো ১৬০ গৃহহীন পরিবার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে গৃহহীন পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

৮০ জন জ্যেষ্ঠ সচিব প্রত্যেকে দুটি করে গৃহহীন পরিবারের জন্য নিজ নিজ এলাকায় তৈরি করেছেন ঘর।

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে নিজ এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশকে সহজেই দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই সরকারের ঘোষণা ছিলো মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এর ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রায় ৩ লাখ গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ বছরই ঘর পেয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পরিবার।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি যারা বিত্তশালী তারা যদি এভাবে নিজ এলাকায় অন্তত কিছু দুস্থ পরিবারের দিকে ফিরে তাকায়, ঘর নাই তো ঘর করে দিলো, তাদের কিছু কাজের ব্যবস্থা করে দিলো, তাদের সহযোগিতা করল। শুধু নিজে ভালো থাকব, নিজে সুন্দর থাকব,নিজে আরাম আয়েশে থাকব আর আমার দেশের মানুষ,আমার এলাকার মানুষ তারা কষ্টে থাকবে এটা তো মানবতা না,এটা তো হয় না।’

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সেই স্কুলগুলোর একটু উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। আপনি যেই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন সেই গ্রামে যেই কয়টা মানুষকে পারেন সহযোগিতা করেন। সবাই সম্মিলিত কাজ করলে এ দেশে দারিদ্র্য থাকবে না।

‘কারণ বাংলাদেশের মানুষ অনেক সাহসী। জাতির পিতা তো এই মানুষগুলোকে নিয়েই যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে শক্তিধর সেনাবাহিনী ছিল। তারা খুব গর্ব করত। তাদের আবার কে হারাবে। কিন্তু বাঙালি তো হারিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে, তারা যা কিছু পান তার মূলে কারা… এই গ্রামের মানুষগুলোই তো। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই তো এরা অর্থ উপার্জন করে। তাদের জন্য আপনারা কিছু করেন। আমি সত্যিই আজকে আনন্দিত আমাদের সচিবেরা যে উদ্যোগটা নিয়েছেন। ’

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। এটা বাস্তবায়ন করাই এখন আমার স্বপ্ন।

‘আমি যদি একটু কিছু করে যেতে পারি মানুষের জন্য, এটাই আমার জীবনের স্বার্থকতা। কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা আমি কখনো করি না। আমার চিন্তা কতটুকু আমি মানুষের জন্য করতে পারলাম, দেশের মানুষের জন্য করতে পারলাম।’

এ বিভাগের আরো খবর