লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী বাজারে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টচার্য শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পাটগ্রামের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি বলেন, ‘শহীদুন্নবীর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। আর ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।’
ইউনিয়ন পরিষদের মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিআইজি দেবদাস ভট্টচার্য বলেন, ‘নৃশংস হত্যার ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল।
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা
বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া বলেন, পিটিয়ে হত্যার পর দেহ আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নৃশংসতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু্ই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এক জন স্থানীয় মুদি দোকানি মনিরুজ্জামান বাবু।
তবে আটক মনিরুজ্জামের মা মনিরা বেগম নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, তার সন্তান ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলে বাড়িতে ছিলেন।
এর আগে এই ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও তিন জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মো. আশরাফুল, অরিফ হোসেন ও মো. শরীফ। এর মধ্যে শরীফের মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা করত।
শরীফের স্ত্রী জেসমিন বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন কী কারণে আমার স্বামীকে ধরা হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ কিছুই বলছে না। উনি জেলে থাকলে আমার সংসার চলবে কীভাবে।’
পুলিশ বলছে, ঘটনার ভিডিও, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই শনাক্ত ও আটক করা হচ্ছে জড়িতদের। লালমনিরহাট (সার্কেল-ডি) পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কুমার নিউজবাংলাকে জানান, আটক পাঁচ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, রংপুর জিলা স্কুল মাঠে শনিবার বাদ জোহর শহীদুন্নবী জুয়েলের গায়েবানা জানাজা হয়েছে। এতে তার স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীরা অংশ নেন।
রংপুরে শহীদুন্নবীর গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন স্বজন ও এলাকাবাসী