নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের মামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তল্লা রেললাইন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। রাত ১০টায় তাকে গ্রেফতার দেখায় নারায়ণগঞ্জ সিআইডি।
তার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সম্পৃক্ততা ও অনুমোদনহীন মসজিদ নির্মাণসহ গাফিলতি ও অবহেলার সুষ্পষ্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছি আবদুল গফুরের বিরুদ্ধে।’
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গফুর মেম্বারকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। এতোদিন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছি।
‘মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট আরো কাদের গাফিলতি আছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যাদের দোষ প্রমাণ হচ্ছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।’
গত ৪ সেপ্টেম্বরের বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতরে সব কটি এসি পুড়ে যায়। নিহত হয় ৩৪ জন
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসুল্লি দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৪ জন মারা যান।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পরিত্যক্ত লাইন থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে মসজিদ থেকে। আর বিদ্যুতের স্পার্ক থেকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই ঘটনায় গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের চার কর্মকর্তাসহ আট জন ও ডিপিডিসির মিটার রিডারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের সবাই জামিনে আছেন।
তিতাসের তদন্তে জানা যায়, প্রায় দুই দশক আগে গ্যাস লাইন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও তাতে সংযোগ বন্ধ করা হয়নি। পরে মসজিদের আশেপাশে খনন করে সেই লাইন সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিতাসের এই তদন্ত চলাকালেই জানা যায়, মসজিদে বিদ্যুতের অবৈধ লাইন ছিল। পাশাপাশি মসজিদটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও নেয়া হয়নি।