চার বছরের প্রেম ছিল আদুরী ও সুমনের। সেই প্রেমকে পরিণয় করতে ঢাকায় পালিয়েছিলেন দুজন। দুই মাস আগেই বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেছিলেন তারা। একমাস আগে ঢাকা থেকে ফেরেন নিজেদের গ্রাম পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুন্দ্রা কলাগাছিয়ায়।
কিন্তু প্রেমের বিয়ের সুখ উবে যায় অল্প দিনেই। সুমন আরেক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করছেন এমন সন্দেহ করেন নববধূ হাবিবা আক্তার আদুরী। তা নিয়েই চলে অশান্তি। নতুন সংসারে প্রায় ঝগড়া হয় সুমন সিকদারের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ঘর ছেড়ে বেরুনোর কিছু পরই বাড়ির পাশের এক আম গাছের সঙ্গে ঝুলে 'আত্মহত্যা' করেন আদুরী।
রাতে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আদুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
আদুরীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে আদুরীর পরিবার।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আদুরীর বোন দোলা আক্তার ও ভাবী খাদিজা বেগম জানান, চার বছর প্রেমের পর আদুরী দুই মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে বিয়ে করেন একই গ্রামের সুমন সিকদারকে। এক মাস আগে তারা গ্রামে ফিরে আসে।
তারা জানান, সুমনের সঙ্গে একই এলাকার আরেক তরুণীর প্রেম আছে বলে সন্দেহ করে আদুরী। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আদুরীকে সুমন মারধরও করেছে।
ওসি শওকত আনোয়ার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। আদুরী রাগ করে স্বামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাবার বাড়ির বসত ঘরের পিছনে আম গাছে আদুরীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়।’