ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আর জে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করেছে র্যাব। তারা সবাই রিসোর্টটির অংশীদার।
শুক্রবার ভোরে র্যাব-১৪ এর একটি দল অবৈধ মদ রাখা ও পরিবেশনের দায়ে তাদের আটক করে।
আটকৃতদের মধ্যে আছে- ঢাকার বাড্ডার এলাকার ফেরদৌস চৌধুরী, শেরপুর নকলার আলাউদ্দিন, রাজবাড়ির নকলার আকমল হোসেন, নেত্রকোনার মনিরুজ্জামান, ময়নমনসিংহ নান্দাইলের আশিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের রুবেল, সরাইলের মুন্না, জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডার জাকির হোসেন, কাউতলীর শাহজাহান, ভাদুঘরের আনোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলার দক্ষিণ জগৎসারের শাহিনুর।
এছাড়া রয়েছেন চান্দপুরের মনির ঠাকুর, ঢাকা দোহারের সাইফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ অলিপুরের হায়দার, জামালপুরের জুয়েল রানা, নরসিংদীর বগাদীর রুবেল মিয়া, বরিশালের মকিমাবাদের জব্বার, পটুয়াখালি রায় তাতেরকাটির আল আমিন, কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচরের ইকবাল, মান্না মিয়া, তন্ময় মোল্লা ও ভৈরব উপজেলার রাজনগর গ্রামের নবী হোসাইন।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, বৈধ ব্যবসায়ের আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে- এমন সংবাদে আশুগঞ্জের আর জে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অভিযান চালানো হয়েছে।
২২ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের অনুমোদনহীন হুইস্কি ও ভদকা জাতীয় ৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ৭২ ক্যান ভদকা, ১৩১ ক্যান বিদেশি বিয়ার ও মাদক বিক্রির এক লাখ ৬৮ হাজার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, ‘রিসোর্টের ভেতরে মদ পরিবেশনের কথা থাকলেও তারা রিসোর্টের বাইরে বিক্রি করেন। পাশাপাশি অনুমোদনহীন বিদেশি মদ ও বিয়ার সংগ্রহ ও পরিবেশন করেন। লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ ও লাইসেন্সহীন ব্যক্তিদের কাছে মদ বিক্রির অভিযোগও আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বিদেশি মদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় রিসোর্টটির ওই ২২ অংশীদারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’