করোনাকালে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও বিভিন্ন ভাতার কার্ড বরাদ্দে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সরকারের বিরুদ্ধে।
শাহজাহান আলী সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোক্তা নাজমা খাতুন। এ কারণে তাকে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ঢুকতে না দেয়াসহ নানা ভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাজমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে নাজমা খাতুন জানান, ২০১০ সালে তিনি নরুন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি দেশের ৩০০ উদ্যোক্তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন।
নাজমা খাতুন আরও বলেন, অর্থের বিনিময়ে শিশু ভাতা কার্ড ও বিধবা ভাতা দেয়া হয়েছে। অনিয়ম ও টাকা লেনদেনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সামনে প্রতিবাদ করায় ১ জুলাই তাকে পরিষদ থেকে বের করে দেয়া হয়। এখনও বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দেওয়ার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নাজমা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে নরুন্দি বাজার এলাকার মরিয়ম আক্তার নামের এক নারীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে তার স্বামী আব্দুল হকের সঙ্গে শাহজাহানের বিরোধ ছিল। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন তিনি। এর পাঁচ দিন পর নরুন্দি বাজারের পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আব্দুল হকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মরিয়ম বলেন, স্বামী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর করা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি চেয়ারম্যান শাহজাহান। অথচ তাকে ইউপি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না।
মামলাটি তুলে নিতে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মরিয়ম আক্তার।
এ ব্যাপারে নরুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ইউপি সচিবের সঙ্গে অসদাচরণ ও নানা অনিয়মের কারণে নাজমা খাতুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ কারণে নাজমা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
হত্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলাটি বিচারাধীন। আমি এখনো দোষী প্রমাণিত হইনি।’