এবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শীর্ষ দুই নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খান।
সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার এবং নানাভাবে তাদের হয়রানি করার অভিযোগ করে আসছে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতয়ালি মডেল থানায় করা এ মামলার আসামিরা হলেন- ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সজল পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কলেজের শিক্ষার্থী অভি ও অজ্ঞাতপরিচয় আট থেকে দশ জন।
থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মামলায় সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে শুক্রবার থানায় যান হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন। সঙ্গে ছিলেন কইয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও। হাসপাতাল পরিচালক জানিয়েছেন, চলমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান ২০ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে তার ওপর হামলার অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। তার সহকর্মীরাও ইন্টার্নদের ‘হেয় করে’ ফেসবুকে পোস্ট দেন।
পরদিন অক্টোবর মাসুদ খান ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মারধরের। ২২ অক্টোবর হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেনের কাছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ‘অপপ্রচার ও কমিশন বাণিজ্যের’।
২৩ অক্টোবর মাসুদ খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাকে মারধর করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তবে কেন মারধর করা হয়েছে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
পরে হাসপাতাল পরিচালকসহ সিনিয়র চিকিৎসকদের আশ্বাসে রাত আড়াইটার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। সমস্যা সমাধানে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শুক্রবার একাধিকবার চেষ্টা করেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।