ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু, ভোলার বোরহানউদ্দিনসহ সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর বিচার হলে লালমনিরহাটে বর্বর ঘটনা ঘটত না বলে একটি সমাবেশে বক্তব্য এসেছে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজনকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে এক সমাবেশে এই কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ হয়।
আগের দিন পাটগ্রামে এই ঘটনাটি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে দেশ জুড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাটগ্রামে টহল জোরদার করেছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এলাকা ছেড়ে পাঠিয়েছে।
শাহবাগের সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘এই ঘটনারও যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তাহলে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনেও ঘটবে। মুক্তিযুদ্ধ ও অসম্প্রদায়িক চেতনার উপর বারবার আঘাত আসবে।’
পাটগ্রামে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে আরেক সমাবেশে প্রকাশক রবীন আহসান বলেন, ‘কোনোভাবেই এই বর্রর ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনার সঙ্গে ও এর পেছনে যারা ইন্ধন দিয়েছে অবিলম্বে তাদের বিচারের দাবি জানাই।’
পাটগ্রামে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ
উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, একটা সমাজ ব্যাবস্থা কতটা অধঃপতন হলে ধর্মীয় অনুভূতির অভিযোগে একটা মানুষকে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়া যায়! এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। ধর্ম নিয়ে নোংরা রাজনীতির কলকাঠি যারা নাড়ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।’
যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, এক্টিভিস্ট আকরামুল হল প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।