বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবারণা পূর্ণিমায় বিশ্ব শান্তি কামনা

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ১৭:৪৪

শুক্রবার রাঙ্গামাটির অন্যান্য বিহারের মতো সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দ্যা খারিক্ষ্যং মরিচ্যাবিল এলাকার রাজবন শাখা বিহার তপোবন অরণ্য কুটিরে উৎসবমূখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়। পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও পূজায় মুখর হয়ে ওঠে কুটিরের প্রাঙ্গণ।

পরস্পর ক্ষমা প্রদর্শন ও সুখ, শান্তি কামনার মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটিতে পালিত হয়েছে বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।

শুক্রবার রাঙ্গামাটির অন্যান্য বিহারের মতো সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দ্যা খারিক্ষ্যং মরিচ্যাবিল এলাকার রাজবন শাখা বিহার তপোবন অরণ্য কুটিরে উৎসবমূখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়। পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও পূজায় মুখর হয়ে ওঠে কুটিরের প্রাঙ্গণ। উৎসব উপলক্ষে আলোয় সজ্জিত করা হয় এ তীর্থভূমি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভিক্ষুরা মঞ্চে আগমণ করলে তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যে দিয়ে বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, চীবর দান, ফানুসবাতি দান ও পিন্ডুদানসহ নানা দান উৎসর্গ করা হয়।

বিশ্ব শান্তি তথা মানব জাতির মঙ্গল কামনায় পাঁচ মিনিট ভাবনা করেন পুণ্যার্থীরা। অতীতের সব ভুল, অপরােধর ক্ষমা প্রার্থনা করে নারী-পুরুষ বিভক্ত হয়ে অধিষ্ঠান করা হয়।

একে অপরের প্রতি হিংসায় লিপ্ত না হয়ে সৎ চিন্তা ও সৎ কর্ম করার এবং নিজেকে আত্মসংযমে রেখে ভগবান বুদ্ধের নিয়ম-নীতি পালনের আহ্বান জানান তপোবন অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত জিনপ্রিয় মহাস্থবির।

রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমায় সমবেত পুণ্যার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

 

অনুষ্ঠানে আরও ধর্মদেশনা দেন, বোধিপুর বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ জিনবোধি মহাস্থবির, ভদন্ত সুমন মহাস্থবিরসহ অন্যান্য ভিক্ষু।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটির বালুখালী ইউনিয়নের কার্বারি রনজিৎ তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি মা ও শিশু কেন্দ্রের চিকিৎসক লেলিন তালুকদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পূর্বাশা চাকমা ও দীরেন চাকমা।

এদিকে, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাস ব্যাপী দানোত্তম কঠিনচিবর দান উৎসব।

প্রবারণা শব্দের পালি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অনুরোধ, নিষেধ, ত্যাগ বা সমাপ্তি। এটা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি, বর্ষাবাস ত্যাগ ও প্রায়শ্চিত্ত বুঝায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাস শেষে তাদের অজান্তে দোষ-ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয় অপর ভিক্ষুদের কাছে। এ ছাড়া প্রবারণাকে আত্ম অন্বেষণ ও আত্মসমর্পণের তিথি বলা যায়। আবার এই দিনে পূর্ণাঙ্গ অভিধর্ম দেশনা সমাপ্ত হওয়ায় এটিকে অভিধর্ম দিবসও বলা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর