যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার সারা দেশে পালিত হচ্ছে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।
শেষ নবী ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল মাসে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর পর একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে।
প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) করেছে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়কে এই শোভাযাত্রা বের হয়।
সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন মাইজভাণ্ডারীর অনুসারীরা।
অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়্যবা, জাতীয় পতাকা, আঞ্জুমানের পতাকা এবং নানা ধরনের বাণী ও শ্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল।
এ সময় নারায়ে তাকবির, নারায়ে রিসালাত ও গাউসিয়তের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় চারপাশ।
জশনে জুলুস শেষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশ হয়।
আশেকানে মাইজভান্ডারী অ্যাসোসিয়েশন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া, বাংলাদেশ মাইজভান্ডারী ফোরাম, ফরিদপুরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির। দেশের মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন।
দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদ্রাসা।
এক তথ্য বিবরণীতে পিআইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন শুরু করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সূত্র: ইউএনবি