কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একই পরিবারের তিনজনকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মাথায় শাবল দিয়ে আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ তথ্য জানান।
এসপি জানান, এ ঘটনায় নিহত আসাদের ছোট ভাই দ্বীন ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার মামলার পর আদালতে দ্বীন ইসলামসহ অন্যদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
তদন্তের আগে এর বেশি তথ্য জানাতে পারবেন না বলে জানান এসপি।
কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিলন বলেন, ‘শুধু রোগাক্রান্ত দ্বীন ইসলাম, তার বৃদ্ধা মা ও বোনে মিলে তিনজনকে হত্যা করে লাশ গুম করা সম্ভব নয়। মায়ের কথায় ভাড়াটিয়া খুনিও আনা হতে পারে।’
বনগ্রাম ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর জানান, কিছুদিন আগে আসাদের মা জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনার মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেছিলেন। শনিবার আসাদের বাড়িতে সালিশ হওয়ার কথা ছিল।
তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কটিয়াদী উপজেলার জামষাইট গ্রামে বাড়ির আঙিনা থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই তিন জন হলেন মুদি দোকানি আসাদ মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী পারভীন (৩৮) ও তাদের ছোট ছেলে লিয়ন (৭)।
জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের।
বৃহস্পতিবার রাতে মাটির নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আসাদের মা, ছোট ভাইসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে আসাদ, তার স্ত্রী পারভীন ও ছোট ছেলে লিয়ন বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার আসাদের মেজো ছেলে মোফাজ্জল পাশের চান্দপুর গ্রামে নানাবাড়ি থেকে বিকেলে বাড়িতে যান।
বাড়ি ফিরে বাবা, মা ও ছোট ভাইকে না পেয়ে পুলিশকে জানান মোফাজ্জল। পুলিশ আসাদের বাড়িতে গিয়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
পরে আসাদের ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম (৩৫), মা কেওয়ারমা (৮০), বোন নাজমা আক্তার (৪২) ও ভাগ্নে আল আমিনকে (২৫) আটক করে পুলিশ।