বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে জালিয়াতির অভিযোগে এক আমদানিকারক এবং পণ্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী শুল্ক কর্মকর্তা সুজয় দেবনাথ চট্টগ্রাম বন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল জলিল ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের খান এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম মাওলা খান।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্য খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট খোলেন আসামিরা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১১ অক্টোবর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ক্লিয়ারেন্স পারমিট কাস্টমসে দাখিল করে। ১৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিও দাখিল করে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র এবং কাস্টমসের করা জরিমানা ও শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে তাদের আটকে থাকা চালানটি ছাড় দেয়ার জন্য বলা হয়।
কাস্টমসের এআরআই শাখা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায়, জমা দেয়া ক্লিয়ারেন্স পারমিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভুয়া।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.mincom.gov.bd। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি www.mincomgov.com নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে পণ্যছাড়ের ভুয়া অনুমোদনপত্র জমা দেয় বলে শনাক্ত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনাবাদাম ও জলপাই আমদানির ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে একটি চালান নিয়ে আসে সিয়াম এন্টারপ্রাইজ।
সন্দেহজনক পণ্য থাকার তথ্য পেয়ে কাস্টমসের এআরআই শাখা চালানটির খালাস স্থগিত করে পরীক্ষা করে। পরে উচ্চশুল্কের ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধ আনার বিষয়টি ধরা পড়ে।
ঘোষণা-বহির্ভূত পণ্য আনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে ৭৭ লাখ টাকা জরিমানা করে। চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের ক্লিয়ারেন্স পারমিট কাস্টমসে জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।