বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয়ে প্রতারণা

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ১১:০৮

সিঙ্গাপুরে চাকরি দেয়ার নামে ফেনীর ৪০০ মানুষের কাছ থেকে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। ভুয়া কোম্পানির প্রচারপত্র, নবাব পরিবারের অ্যামবুশ সিল, ওয়াকিটকি সেট, ভিওআইপি সরঞ্জাম, বিদেশে পাঠানোর নামে তৈরি করা মেডিক্যাল সনদ, ল্যাপটপ জব্দ।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চাকরি দেয়ার নামে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি নিজেকে স্যার নবাব সলিমুল্লাহর নাতি বলে পরিচয় দিতেন; বলে বেড়াতেন দুবাইয়ে তাদের সোনার কারখানা আছে। তার বাবা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। চলতেন সশস্ত্র বডি গার্ড নিয়ে। মন্ত্রী, এমপিসহ সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষদের সঙ্গে তার ছবি আছে।

অভিযোগ রয়েছে, এ সবই ছিল তার প্রতারণার ফাঁদ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফেনীর ৪০০ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নবাব সলিমুল্লার এই ‘নাতির’ নাম আলী হাসান আসকারী।

বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে আসকারীকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিস) বিভাগের একটি দল। রাজধানীর অন্যান্য এলাকা থেকে তার আরও চার সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।  

আসকারীর কাছ থেকে ভুয়া কোম্পানির প্রচারপত্র, নবাব পরিবারের অ্যামবুশ সিল, ওয়াকিটকি সেট, ভিওআইপি সরঞ্জাম, বিদেশে পাঠানোর নামে তৈরি করা মেডিক্যাল সনদ, ল্যাপটপ ও কয়েকটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আলী হাসান দীর্ঘদিন ধরে নবাবি স্টাইলে প্রতারণা করে আসছিলেন। বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতেন। এরপর নিজের উচ্চবিত্ত অবস্থা জানিয়ে সহায়তার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন। ২৪ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ 

প্রতারণার শিকার হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছেন ফেনীর রাশিদীয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল আহাদ সালমান।

তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, আসকারীর সঙ্গে গত মার্চে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। এ সময় আসকারী নিজের নানা বর্ণাঢ্য পরিচয় দেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেশের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ছবি দেখে বিশ্বাস করেন সালমান। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার বাবার অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে সালমানকে জানান আসকারি।

হাসপাতালটিতে ৭০০ নার্স নিয়োগ করা হবে। বিনা খরচে তিনি এসব লোককে হাসপাতালে নিয়োগ দেবেন, সে জন্য সালমানকে কিছু লোক সংগ্রহ করে দিতে বলেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসকারীর কথায় বিশ্বাস করে সালমান। তিনি এলাকার সিঙ্গাপুর যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৪০০ লোক সংগ্রহ করেন। প্রথমে মেডিক্যাল করানোর নামে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা করে নেন। এরপর সালমানকে বলেন, প্রত্যেকের জন্য নার্সিংয়ের সনদে জোগাড় করতে হবে। সালমান ব্যর্থ হয়ে আবার আসকারির সহযোগিতা চান।

তখন সনদ করিয়ে দেয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে নেন আসকারী। এভাবে কয়েক দফায় তিনি তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর টালবাহানা শুরু করেন আলী হাসান। একপর্যায়ে আত্মগোপনে চলে যান। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন সালমান।

অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল আরও বলেন, ‘আসামিদের তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার প্রতারণার আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর