যৌন মিলনে অস্বীকৃতি জানালে শতকরা ৬৩ ভাগ পুরুষ স্ত্রীকে পেটায় বলে একটি গবেষণায় জানা গেছে। শতকরা ৬২ শতাংশ পুরুষ মনে করে, পিটুনিই স্ত্রীদের প্রাপ্য।
ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ বাংলাদেশি তরুণ পুরুষদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার (এসআরএইচআর) এর উপর করা গবেষণার ফলাফলে এমনটা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার একটি ওয়েবিনারের এই ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে ১১ হাজার ১০২ জন তরুণের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রতিবেদন ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হবে।
গবেষণায় বলা হয়, ২৯ শতাংশ যুবক মনে করে কনডম যৌন মিলনে তৃপ্তি কমিয়ে দেয়। তিন শতাংশ পুরুষ কেবল অরক্ষিত যৌন মিলনে এইডস এর ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রাখে।
৩০ শতাংশ পুরুষের ধারণা, যে মেয়ে ধূমপান ও মদপান করে তাকে চাইলেই শয্যায় পাওয়া যায়। ২৮ ভাগ মনে করে যৌন রোগগুলো মূলত দুর্বল বিশ্বাস, অভিশাপ ও শয়তানের ইচ্ছার ফলাফল।
গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ১ শতাংশ বা প্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার তরুণের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রয়োজনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যতথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এসব বিষয় নিয়ে সমাজ, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা হয় না। ফলে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
গবেষণায় বলা হয়, ৭৫ শতাংশ পুরুষ জীবনে একবার হলেও পর্নোগ্রাফি দেখেছে। তাদের দেখার শুরু গড়ে ১৪ দশমিক ৮ বছর বয়স থেকে।
বিবাহিত পুরুষ স্ত্রী ছাড়াও গড়ে এক দশমিক ৩ জন নারীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছে।
গড়ে ১৬ দশমিক ৫ বছর বয়সে প্রথম যৌন মিলন করে এবং ১৮ শতাংশ অবিবাহিত যুবকের একবার হলেও যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা থাকে।
১১ শতাংশ যুবক যৌন মিলনে ভায়াগ্রা, ইয়াবা ও ভেজষ ওষুধ ব্যবহার করে একবার হলেও।
৮৬ শতাংশ পুরুষ করে যৌন ক্ষমতা একজন পুরুষকে ‘পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত করে। ৭৩ ভাগ চিন্তিত থাকে মেয়ে সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে পেরেছে কি না।
গবেষণায় দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ তরুণ যৌনরোগ (এসটিআই/এসটিডি) সম্পর্কে কখনও কোনো কথা শোনেনি। শতকরা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ ডাক্তার/নার্স/স্বাস্থ্যকর্মী বা কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকর্নার থেকে পরামর্শ নিয়েছে।
সংবেদনশীল ক্ষেত্রে তরুণরা প্রথম পরামর্শক হিসেবে কবিরাজ, হোমিওপ্যাথি, স্থানীয় ফার্মেসির দোকানদার ও গ্রাম্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। অনেক তরুণ লজ্জার কারণেই চিকিৎসালয়ে যায় না।