হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
কিশোরীর পরিবার প্রথমে বলে, এটি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, মৃত্যুবাষির্কীর মিলাদ মাহফিল। এক পর্যায়ে প্রশাসনের চাপের মুখে বাল্যবিয়ের আয়োজনের বিষয়টি স্বীকার করে পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নসরতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার নছরতপুর গ্রামের এক ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল।
খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ইউএনও মো. মিনহাজুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ প্রশাসনের লোকজন। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কিশোরীর বাবা আত্মগোপন করেন।
প্রশাসনের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় মুরব্বিরা বলেন, এটি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নয়। এটি ওই ব্যক্তির বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন।
এক পর্যায়ে প্রশাসনের চাপের মুখে সবাই বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় আইন অনুযায়ী ইউএনও বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন দেন। পরে কিশোরীর বাবাকে খবর দিয়ে এনে মুচলেখা নেয়া হয়। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউএনও বলেন, অনেক সময় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিলেও গোপনে আবারও বিয়ে দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মেয়ের বাবাকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।