সরকারি বিজ্ঞাপনের রেট বাড়াতে পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর যে অভিযোগ রয়েছে, সেটা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী যুক্ত হন ভিডিও কনফারেন্সে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেসব পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশে কতটুকু সহায়ক তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পত্রিকার প্রচার সংখ্যাও যাতে বাস্তবনির্ভর হয়, এ নিয়েও কাজ চলছে। এসকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রয়োজন।’
সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের ওপর সরকার কর পাচ্ছিল না উল্লেখ করে এ নিয়েও কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।
হাছান বলেন, ‘বহুদিনের চেষ্টায় আমরা দেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে দেখানো আমরা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে পেরেছি। এছাড়া যা কয়েক দশকে সম্ভব হয়নি, সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সমগ্র ভারতে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ ভালো দিক হলেও একে যেন কোনো ভাবেই পুঁজির স্বার্থে ব্যবহার না করা হয়ে সেদিকেও খেয়াল রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
গণমাধ্যমের বিকাশে বর্তমান সরকারের ভূমিকার উল্লেখ করে মন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের সহায়তার কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘এটি বিশ্বে অনন্য নজির।’
ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।