বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাঁড়িতে হত্যা: দুই পুলিশ রিমান্ডে

  • ইফতেখার মো. নাবিল, সিলেট   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ২০:৫৫

আশেক এলাহীকে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে সিলেটের মূখ্য মহানগর আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন।

সিলেটে রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশের উপপরিদর্শক আশেক এলাহীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড চাইলে সিলেটের মূখ্য মহানগর আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন।

রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার অন্য আসামি কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে তাকে তিন রিমান্ডে দেয় বিচারক জিয়াদুর রহমান।

গত শনিবার সিলেটের পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করা হয় হারুনুর রশীদকে। ওই দিনই আদালতের নির্দেশে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

বুধবার রাতে নগরের রিকাবীবাজার পুলিশ লাইন্স থেকে আশেক এলাহীকে গ্রেফতার করা হয়। আশেকের নেতৃত্বেই ঘটনার দিন রাতে রায়হানকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন এখনও পলাতক।

১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরের কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে পুলিশ।

যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির কথা তারা শোনেননি। পাশাপাশি ওই এলাকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ফুটেজে যুবককে গণপিটুনির কোনো প্রমাণই মেলেনি বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম।

নিহত রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুই বছর ধরে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটের এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারীর কাজ করতেন।

পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়ি থেকে ফোন দিয়ে রায়হানকে ছাড়িয়ে আনতে তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

ওই দিনের ঘটনায় ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা ও অদক্ষতার প্রমাণ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।

১৪ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত ভার পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআই বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর