নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেফতারের পর সংসদ সদস্যের দখলে থাকা ‘তিব্বত হল’ উদ্ধারের দাবিতে আবার বিক্ষোভে নেমেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাজী সেলিমের স্ত্রীর নামে থাকা ‘গুলশান আরা সিটি মার্কেট’ তাদের ঢাকার ‘তিব্বত হল’।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ফটক থেকে শুরু করে কাঁঠালতলায় পর্যন্ত মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ-সময় স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডে নানা ধরনের দাবি তুলে দেয়া হয়।
মিছিলে স্লোগান দেয়া হয়, ‘দখলদার নিপাত যাক, জবি হল ফিরে পাক।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অর্পিত সম্পতি শাখার তথ্য বলছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখলে থাকা ১২ টি হলের মাঝে সবচেয়ে বড়টি ছিল ‘তিব্বত হল’।
২০০১ সালে হলের অবকাঠামো পরিবর্তন করে তার স্ত্রীর নাম অনুসারে স্থাপনাটির নাম রাখেন ‘গুলশান আরা সিটি মার্কেট’।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশু বলেন, ‘আগামী এক যুগের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসে হল পাওয়া আর রূপকথার গল্প দুটোই সমার্থক। অথচ হল তো দূরের কথা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাসরুমই নেই আমাদের।’
‘প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে দ্রুতই হল উদ্ধারে তারা পদক্ষেপ নেবে।’
শিক্ষার্থী মো. নাছিম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা এখানে পড়তে আসি। কিন্ত এসেই থাকা খাওয়ার জন্য টিউশনসহ পার্ট টাইম চাকরি করতে হয়। হল থাকলে এসব করতে হতো না। আমরা হল ফেরত চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধারের দাবিতে নানা সময় আন্দোলন হয়েছে। ২০১৮ সালে সবচেয়ে বড় আন্দোলনের সময় সরকার ওই বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন ক্যাম্পাস অনুমোদন করে।
ওই বছরের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।
প্রায় ২০০ একর জমির ওপর এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে।
প্রকল্পের মেয়াদ আছে আর দুই দিন। ফলে এটা নিশ্চিত যে, সময় বাড়াতে হচ্ছে।