নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় রিমান্ডে থাকা এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে আবার রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
এবার দুই জনকে হেফাজতে গিয়ে ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্ত কর্মকর্তা।
সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় করা অস্ত্র ও মাদকের মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন এই আবেদন করেন।
আগামী ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের আদালতে অস্ত্র মামলায় ও আরেক মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে মাদক মামলা নিয়ে শুনানি হবে।
ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জাফর হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার রাতে কলাবাগান এলাকায় নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগীরা মারধর করে বলে অভিযোগ আছে।
এই ঘটনায় মামলার পর সোমবার বেলা ১২টা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা অভিযান চলে পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাড়িতে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে।
অভিযানে ইরফানের কক্ষে অবৈধ ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পানের ঘটনায় তাকে ছয় মাস করে মোট এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ ছাড়া একটি অবৈধ পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধার করা হয় বাসা থেকে। পাওয়া যায় বিদেশি মদ। এই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা হয় হাজী সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে।
হাজী সেলিমের ছেলের ঘরে র্যাবের অভিযান। ছবি:নিউজবাংলা
নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এই ঘটনায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের পদও হারিয়েছেন ইরফান সেলিম।
তার বাবা হাজী সেলিম এই মামলার আসামি না হলেও তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না