বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘লজ্জার খবরে’ ফখরুলের দুঃখ

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:৫০

‘লজ্জার সঙ্গে একটা খবর লক্ষ্য করলাম। ... যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ১০ জন সদস্য তাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে যে, বাংলাদেশের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৪০০ মানুষ বিনা বিচারে নিহত হয়েছে। ...আমাদের দুঃখ হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলো আজকে বিদেশের কাছে যাচ্ছে।’

র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে সে দেশের সিনেটরদের চিঠিকে ‘লজ্জার খবর’ বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি নেতা বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে তার দুঃখ হয়। জাতির জন্যও সুখকর নয়।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম আর নির্যাতনের অভিযোগে র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির ১০ সদস্য।

ফখরুল বলেন, ‘আজকে লজ্জার সঙ্গে একটা খবর লক্ষ্য করলাম। পত্রিকায় এসেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ১০ জন সদস্য তাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে যে, বাংলাদেশের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৪০০ মানুষ বিনা বিচারে নিহত হয়েছে। তা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটা স্যাংশন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।

‘আমাদের দুঃখ হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলো আজকে বিদেশের কাছে যাচ্ছে, বিশ্ব সভার কাছে যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য কখনই সুখকর বিষয় নয়।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা। তিনি আক্ষেপ করেন ভিন্নমতে সহনশীলতা ‘কমে যাওয়া’ নিয়ে।

ফখরুল বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের গণমাধ্যম থেকে ভিন্নমতকে সহ্য করার যে সহনশীলতা, সেটা ধীরে ধীরে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।’

 

দেশে গণতন্ত্র প্রায় অনুপস্থিত- দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘মানুষ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এসেছি।’

ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিভাজনের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তার কুফল সর্বক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। সমাজ ও মানুষ বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। যেটা আমাদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় নয়।’

‘বিভাজনের সমাজে’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রশংসাও করেন ফখরুল। বলেন, ‘গত ২৫ বছর ধরে পেশাদার সংগঠন হিসেবে নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পেরেছে সংগঠনটি।’

গণমাধ্যমকর্মীদের অতিরিক্ত চাপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয় বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমরা দেখেছি, শুধু রাজনৈতিক কারণে অনেক সংবাদকর্মীকে নিগৃহীত হতে হয়েছে; প্রাণ দিতে হয়েছে। অনেক সময় কারাগারে যেতে হয়েছে। এমনকি সংবাদ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এই সভায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেনসহ সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা।

২৫ অক্টোবর রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডিআরইউয়ের চার দিনব্যাপী রজতজয়ন্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার, ডিআরইউ থেকে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

শুক্রবার ও শনিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে দিনটি।

এ বিভাগের আরো খবর