বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ হাজার জেলের পেটের ক্ষুধা নিবন্ধনেই শেষ

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:০৮

‘চট্টগ্রামে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯২ জন। কিন্তু আমরা ২০ হাজার জেলের জন্য চাল বরাদ্দ পেয়েছি। তাই বাকিদের চাল দেওয়া সম্ভব নয়।’

ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময়ে কর্মহীন জেলেদের সরকারি চাল সহায়তা পাওয়ার কথা। তবে নিবন্ধিত হওয়ার পরেও চট্টগ্রামে এবার ৬ হাজার ৯৯২ জেলে এ সহায়তা পাচ্ছেন না।

বাকি ২০ হাজার জেলে পরিবারের কাছেও ১৬ দিনে কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি। তবে প্রশাসনের দাবি, চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময়ে জেলে পরিবারপ্রতি ২০ কেজি করে সরকারি চাল সহায়তা দেয়ার কথা। তবে চট্টগ্রামে এবার নিবন্ধিত প্রায় সাত হাজার জেলে পরিবার চাল পাচ্ছে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯২ জন। কিন্তু আমরা ২০ হাজার জেলের জন্য চাল বরাদ্দ পেয়েছি। তাই বাকিদের চাল দেওয়া সম্ভব নয়।’

চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় গতবারও প্রায় ১০ হাজার জেলে চাল পাননি বলেও জানান ফারহানা লাভলী। তিনি স্বীকার করেন প্রয়োজনীয় চাহিদাপত্র জেলা থেকে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পাঠানো হয়নি।

বিভিন্ন এলাকার জেলেদের অভিযোগ, ইলিশ শিকার বন্ধের দুই সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও এখনো শুরু হয়নি সরকারি চাল বিতরণ।

আরও পড়ুন: ঘুষে মিলছে ইলিশ শিকারের অনুমতি

সীতাকুণ্ড উপজেলার বোয়ালিকুল এলাকার জেলে উপেন্দ্র জলদাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাছ শিকার বন্ধ। অন্যদিকে, ঘরে ৬ জন মানুষ। তাদের খাবার জোগাতে মহাজনের থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। ’

উত্তর চট্টলা উপকূলীয় জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন জলদাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তর চট্টগ্রামে ৫ হাজার ৬০০ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এখনো কোনো জেলে চাল পাননি। জেলেরা অভাবে পড়ে চড়াসুদে ঋণ নিচ্ছে।’

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরের হালিশহর আনন্দবাজারে তিনটি স্পটে চাল বিতরণ হচ্ছে। ধীরে সব জেলেকে চাল দেয়া হবে।’

চাল বিতরণের পদ্ধতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া তালিকা অনুযায়ী চাল দিচ্ছি। স্থানীয়ভাবে যাদেরকেই তালিকায় রাখা হয়েছে তারা চাল পাবেন।’

মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকতারা জানান, আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে ৮০ শতাংশ মা ইলিশ মিঠাপানিতে এসে ডিম ছাড়ে। এ জন্য এ সময়ে ২২ দিন বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ সময়ে ইলিশ পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বেচাকেনাও নিষিদ্ধ। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে নিষেধাজ্ঞা।

এ বিভাগের আরো খবর