পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া বরগুনায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনার পরের রাতে পঞ্চগড়ের থানায় মামলা করেন ওই নারী। রাতেই প্রধান আসামি ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সোনাপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম রতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে সোনাপাড়া এলাকার অটোরিকশা চালক আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগর এলাকার মাইক্রোবাস চালক শহিদুল ইসলাম ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকার নুর আলম নামের আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে রতন ও শহিদুলকে ধর্ষণকারী এবং অন্য দুই জনকে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ওই নারীর সঙ্গে সম্প্রতি মোবাইল ফোনে জাহিদুল ইসলাম রতনের পরিচয় হয়।
ঘটনার দিন দুপুরে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর বিকেলে রতন তাকে মোবাইলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রতনের কথামতো বাড়ি থেকে বের হন তিনি। পরে তাকে আমিরুলের অটোরিকশায় করে পঞ্চগড় রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার নামে সময়ক্ষেপণ করে গভীর রাতে শহিদুলের মাইক্রোবাসে তাকে তোলা হয়। এর মধ্যে ওই নারী তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে চিৎকার দিলে তাকে মারধর করা হয়।
পরবর্তী সময়ে রতন ও শহিদুল ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই সময় বাইরে পাহারা দেয় আমিরুল ও নুর আলম।
ভোরে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে বোদা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় রতন। পরে মঙ্গলবার রাতে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া জানান, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
বরগুনা: ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার মামলা করেন তার বাবা।
শিশুটির বাবা জানান, গত ২৫ অক্টোবর দুপুরে আসামির সন্তানের সঙ্গে খেলতে তাদের ঘরে যায় শিশুটি। ওই সময় ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি কান্না করলে তাকে ছেড়ে দেয়।
বাড়িতে আসার পর প্যান্ট উল্টো অবস্থায় পরা দেখে কারণ জানতে চাইলে শিশুটি মাকে ঘটনা জানায়।
শিশুর বাবা আরও জানান, ঘটনার পর তিনি আসামির ভাই সাবেক ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি কাউকে না জানাতে চাপ দেন। একপর্যায়ে তার পরিবারকে জিম্মি করে রাখা হয়।
খবর পেয়ে গণমাধ্যকর্মীরা বুধবার পুলিশের সহায়তায় ওই বাড়ি থেকে শিশুসহ পরিবারটিকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাবেক ওই ইউপি সদস্য বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই।’
বরগুনা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তরিক জানান, শিশুটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে আসামির বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।