বই-খাতার মধ্যে ছিল আরবি লেখা কয়েকটি ছেঁড়া পৃষ্ঠা। কুষ্টিয়ার খোকসার কমলাপুর গ্রামে প্রচলিত আছে, আরবি লেখা কিছু পেলে তা পানিতে ফেলতে হবে। তাই বুধবার সকালে কাগজগুলো ১০ বছর বয়সী মেয়ে তানহার হাত দিয়ে বাড়ির পাশের গড়াই নদীতে ফেলতে পাঠান মা শাপলা খাতুন।
দুপুর হয়ে গেলেও মেয়ের আর খোঁজ নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। গ্রামের মসজিদের মাইকেও তানহার নিখোঁজের কথা প্রচার করা হয়। কিন্তু কেউ দিতে পারে না তানহার খোঁজ।
এরপর খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তারা আসার পর খুলনা থেকে ডুবুরি ডাকা হয়। ডুবুরিরা রাত পর্যন্ত গড়াই নদীতে তানহাকে খোঁজে। স্থানীয়রাও চেষ্টা করে ডুবুরিদের সাহায্য করতে।
খোকসা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মোশাররফ হোসেন জানান, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাঁচ জন ডুবুরি রাতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গড়াই নদীতে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি খোকসার কমলাপুর রুমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তানহার।
দুই বোনের মধ্যে তানহা বড়। ছোট বোন তানিশার বয়স চার।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা ৪০ মিনিট থেকে আবার শুরু হয়েছে তানহাকে উদ্ধারে অভিযান।