রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) আরও বড় পরিসরে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার।
গত ২৫ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পুনর্গঠিত এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামকে।
আগের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। যিনি এখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
কমিটিকে সহায়তাকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- স্থানীয় সরকার সচিব, পানি সম্পদ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব, সেতু সচিব, ভূমি সচিব, রেলপথ সচিব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব এবং নৌ পরিবহন সচিব।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, এই মন্ত্রিসভা কমিটি জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত মতামত এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত পর্যালোচনা করে রাজউক প্রণীত ড্যাপ চূড়ান্ত করবে।
আদেশে আরও বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
২০১০ সালে পাস হওয়া ড্যাপের মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০১৬ সালের মধ্যে সংশোধিত আরেকটি ড্যাপ প্রণয়নের কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন ড্যাপ করা সম্ভব হয়নি।
এমন অবস্থায় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ড্যাপের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এরপর ড্যাপের মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন কোনো প্রজ্ঞাপন হয়নি।