মুজিব বর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ঢাকা আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই সফর হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উসমান তুরানের কাছ থেকে করোনার চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণের পর এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ডি-৮ সম্মেলন বা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।’
‘এ কারণে আমরা এক্সাইটেড। উনি এলে আমরা সাদরে গ্রহণ করব’-বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী এক বছরকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
গত ১৭ মার্চ মুজিবর্ষের উদ্বোধনের কথা ছিল। এতে বিশ্বের অনেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে করোনা রোগী ধরা পড়ার পর অনুষ্ঠান বাতিল করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনলাইনে মুজিববর্ষের উদ্বোধন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় তুরস্কের পক্ষ থেকে দেয়া উপহার গ্রহণ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
আগামী বছরের ১৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান করার কথা রয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে চতুর্থ দফায় করোনার চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার পিস করে এন-৯৫ মাস্ক, গাউন, কাভার অল, ২০টি করে ভেন্টিলেটর মনিটর, স্ট্যান্ড সেট ইত্যাদি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক তুরস্ক সফরের প্রসঙ্গ টেনে জানান, আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে তিনি এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের বাণিজ্য দুইশ কোটি ডলারে নেওয়ার বিষয়েও আশাবাদ প্রকাশ করেন।
দুই দেশে বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন এরদোয়ান।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।