বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইলিশের ‘হাট’

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ১৪:০০

জাজিরা উপজেলার কাজিয়ারচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীতে শত শত নৌকা। দেখে বোঝার উপায় নেই নদীতে এখন কোনো ধরনের জাল ফেলা নিষেধ। নদী তীরে রয়েছে অন্তত ৩০টি অস্থায়ী বাজার।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব। শত শত নৌকা আর স্পিডবোট  নিয়ে জেলেরা নির্বিচারে ধরছে করছে মা ইলিশ। ইলিশ কেনাবেচার জন্য নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০টি অস্থায়ী বাজার। সেখানে প্রতিদিনিই বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ।

জেলার জাজিরা উপজেলার কাজিয়ারচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীতে শত শত নৌকা। দেখে বোঝার উপায় নেই নদীতে এখন কোনো ধরনের জাল ফেলা নিষেধ। মনে হচ্ছে,মাছ ধরার প্রতিযোগিতা চলছে। শুধু কাজিয়ারচর নয়, শরীয়তপুরে পদ্মা ও মেঘনার ৭৭ কিলোমিটারজুড়ে একই চিত্র।

চলতি বছর ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে ইলিশ ধরা, আহরণ ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইলিশ ধরার সঙ্গে সরাসরি জড়িত জেলেদের ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩৬টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের ১৯ হাজার জেলেকে চাল দয়ার কথা। কিন্তু অনেক জেলের অভিযোগ কোনো চাল পাননি তারা।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও জেলেরা নদীতে যাচ্ছেন ইলিশ শিকারে

 

বিলাশপুর ইউনিয়নের জেলে জামাল মাদবর পদ্মা নদী থেকে ইলিশ শিকার করে বিক্রি করছিলেন নদী পাড়েই। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি মাছ ধরার কথা স্বীকার করেই বলেন, ‘এখন মাছ ধরা অবৈধ। কিন্তু কি কইরা খাইম? করোনায় তো এমনেই শ্যাষ, হের পর নদী ভাঙা। দোনোডা মিল্লাই আমাগো কোনো গতিক নাই।’

মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের সহায়তার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুই পাই নাই। আমি এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে থাকি। মেম্বারের কাছে জিগাইয়া দ্যাহেন, আমি কিছু পাইছি কিনা।’

কথা হয় নড়িয়ার জেলে সবুজ বেপারির সঙ্গে। আইন অমান্য করছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সবুজ বলেন, ‘পেটে ক্ষুধা থাকলে আইন বেআইন কিছুই মাথায় আসে না। পেটের জ্বালায় নদীতে নামি। আইন শৃংখলার লোক আসলে পলাইয়া যাই।’

হাতে ব্যাগ নিয়ে ইলিশের দরাদরি এমন কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে অন্যত্র চলে যান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে সফল করতে মৎস্য বিভাগ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। জেলেরা বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়ে অঙ্গীকারও করেছেন ২২ দিনের প্রজনন মৌসুমে তারা নদীতে মাছ ধরতে নামবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই তারা নদীতে নামছেন। এর প্রমাণ প্রতিদিনই কেউ না কেউ আটক হচ্ছেন। দেয়া হচ্ছে জেল জরিমানা।

বুধবার সকাল পর্যন্ত  শরীয়তপুরে মোট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে ৯৬টি, কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৮৫১ জন জেলেকে, জরিমানা করা হয়েছে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, প্রায় ৪২ লক্ষ মিটার জাল এবং ৪৭৭ টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর