দীর্ঘ সাত মাস পর সাড়া পড়েছে খুলনার ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে। সুন্দরবন ভ্রমণে শুরু হয়েছে আগাম বুকিং। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ বাদা বনে (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) পর্যটকেরা প্রবেশ করতে পারবেন নভেম্বরের শুরু থেকে।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে একটি জাহাজে ৫০ জনের বেশি পর্যটক নেওয়া যাবে না। সবাইকে কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সুন্দরবন ভ্রমণের বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। সমিতি জরুরি সভায় বসেছে। ভ্রমণের জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে। এছাড়া জাহাজে পর্যটক সংখ্যাও কমিয়ে আনা হবে।
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন সূত্র থেকে নভেম্বরে সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার কথা জেনে আমরা ৩০ জনের একটা গ্রুপের বুকিং নিয়েছি। সরকার নির্দেশনা দিলে আমরা ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর ট্যুর পরিচালনা করব।’
তিনি বলেন, দু রাত তিন দিনের প্যাকেজে জন প্রতি এ বছর খরচ পড়ছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এছাড়া সুন্দরবন ভ্রমণে প্রতি দেশি পর্যটককে দৈনিক ১৫০ টাকা ও বিদেশি পর্যটককে ১৫০০ টাকা শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সূত্র থেকে জানা যায়, খুলনায় ৬৩টি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ছোটবড় মিলে ৫২টি ট্যুরিস্ট বোট রয়েছে। যেগুলোর ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ৭০ জন। খুলনায় সর্বোচ্চ ৭০ জন ধারণ ক্ষমতার জাহাজ রয়েছে ৬টি। এছাড়া মংলা থেকে বেশ কিছু ছোট বোট মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটক বহন করে।
সুন্দরবনের আটটি পর্যটন এলাকায় পর্যটন মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) কোনো কোনো দিন ১০ থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি পর্যটক অবস্থান করেন।
গত বছর পর্যটন ব্যবসার ভরা মৌসুমে করোনাভাইরাসের কারণে ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।