চিকিৎসা খরচের চুক্তির থেকে বেশি টাকা দাবির প্রতিবাদ ও টাকা নেয়ার রশিদ চাওয়ায় বরিশালে শিক্ষা অধিদফতরের এক সহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর জীবনানন্দ দাশ সড়কের সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকে হামলার শিকার শহিদুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সহকারী প্রকৌশলীর ভাগ্নে রোগী সুমন গাজী জানান, ক্লিনিকটিতে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। সার্জারিও করা হয়েছে। ২১ দিন পর সোমবার আসলে ওই চিকিৎসক নতুন করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। চুক্তি করা টাকা আগে দেয়া হলেও তার কোনো রশিদ তারা দেননি। সেই দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
শহিদুল ইসলাম জানান, তার ভাগ্নেকে ভর্তি করানোর সময় যে টাকা নিয়েছে তার কোনো রশিদ দেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আবারও টাকা চাইলে আগের দেয়া টাকার রশিদ চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘টাকা দেয়ার রশিদ চাইলে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। তখন অন্য রোগীর স্বজনরা আমাকে রক্ষা করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বহিরাগত দুই তিনজন যুবক এসে সহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করেন। এ সময় তিনি আহত হন।’
সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্লাস্টিক সার্জারির জন্য ৩৫ হাজার টাকা, পরে আলাদা করতে আরও ১০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানাই। তখন রোগী কিছু টাকা কমানোর জন্য বললে আমি দুই হাজার টাকা কমিয়ে দেই।
‘তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে তার শার্টের দুটি বোতাম ছিড়ে যায়। বাস্তবে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’