নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী দীপুকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বিকালে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সুব্রত শিকদার জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবু আব্দুল্লাহ জানান, আসামিকে সাত দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী দীপুর জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে হত্যাচেষ্টার মামলার ২ নম্বর আসামি এবি সিদ্দিক দীপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দীপু সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের সঙ্গী।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোমবার ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাসায় অবৈধ ওয়াকিটকি ও মদ রাখায় তাদের এ দণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ড পাওয়া ইরফান ও জাহিদকে ওই দিনই কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ইরফানকে সোমবার আটকের পরই পুরান ঢাকার দেবীদাস ঘাট লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া অভিযান চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এরপর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এ ছাড়া এ ঘটনার রাতেই জব্দ করা হয় হাজী সেলিমের গাড়িটি। ওই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে সোমবার গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতে মিজানের ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।