বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরগুনার রিফাত হত্যা: আরও ১১ আসামির সাজা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:২১

অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ছয় জনকে ১০ বছরের চার জনকে পাঁচ বছরের এবং এক জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিন জন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করা হয়। রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় জনকে ফাঁসি ও চার জনকে দেয়া হয় খালাস।

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ১১ জনের সাজা দিয়েছে আদালত। তিন জনকে দেয়া হয়েছে খালাস।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় জনকে ১০ বছরের, চার জনকে পাঁচ বছরের এবং এক জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

বেলা একটা ১০ মিনিটে বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। দুইটা ৪৫ মিনিটের সময় চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা শেষ করে আদালত।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে খালাস দেয় অন্য একটি আদালত।

মিন্নি ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড পান রিফাত ফরাজী, রাব্বি আকন, সিফাত, টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ হাসান।

এই মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ১৪ জনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাদের বিচার হয় শিশু আদালতে। তাদের মধ্যে ৬ জন ছিল সংশোধনাগারে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাধ্যমে প্রিজন ভ্যানে করে ছয় আসামিকে সংশোধনাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

প্রিজন ভ্যানের দুই পাশে ছিল র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি। পরে সারিবদ্ধভাবে ছয় আসামিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নেয়া হয়।

আট আসামি বিচার চলাকালে বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল। তারা হাজির হয় স্বজনের সঙ্গে।

রায় ঘোষণার সময় রিফাতের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

রায়কে ঘিরে বরগুনা শহর ও আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়। সেদিন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের তারিখ দেন।

এই রায়ে সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, এমন রায় প্রমাণ করে অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় নেই।’

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন রায়ে অসন্তুষ্ট। তারা উচ্চ আদালতে আপিলের কথা বলেছেন।

আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, ‘আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা সাত কার্যদিবসের মধ্যেই হাইকোর্টে আপিল করব।’

গত ১ জানুয়ারি বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

 

এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশে। ভিডিওতে দেখা যায়, মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

তবে পুলিশ তদন্ত করে জানায়, প্রধান সন্দেহভাজন নয়ন বন্ড নামে পরিচিত সাব্বির আহমেদ ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এই খুন করিয়েছেন। পরে রিফাত ফরাজীকে প্রধান আসামি করে মিন্নিকে ৭ নম্বরে রেখে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলায় মোট ৭৪ জন সাক্ষির সাক্ষ গ্রহন করা হয়। মোট ৪৪ কার্যদিবসে মামলাটির রায় ঘোষণা করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর