বরগুনায় বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক দশ আসামির রায় পড়া শুরু করেছেন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে রায় পড়া শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কড়া প্রহরার মাধ্যমে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
মামলার রায় শুনতে আদালতে রিফাতের পরিবারের সদস্য ও আসামিদের স্বজনরা হাজির হয়েছেন।
বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘রিফাতের রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
কারাগার থেকে আদালতে আসামিদের আনার সময় প্রিজন ভ্যানটিকে মাঝখানে রেখে দুই পাশে ছিল র্যাব ও পুলিশের গাড়ি। এরপর সারিবদ্ধভাবে ছয় আসামিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই রায়কে ঘিরে বরগুনা শহর ও আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য ২৭ তারিখ দিন ধার্য করেন।
১ জানুয়ারি থেকে বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
হত্যা মামলায় মোট ২৪ আসামির বিরুদ্ধে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি।
৩০ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দেয় জেলা ও দায়রা জজ আদালত। চার আসামিকে দেয়া হয়েছে বেকসুর খালাস।