বরগুনায় বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরায় অসঙ্গতি ও পরস্পরবিরোধী তথ্য রয়েছে। এর ফলে আসামিরা ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সুবিধা পেতে পারে বলে তারা আশা করছেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিচারিক আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রিফাত হত্যা মানুষের মনে দাগ কেটেছে। এ মামলায় রিয়াজ নামের একজন সাক্ষী সৌদি আবর চলে যাওয়ায় তার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি। অন্য কোনো সাক্ষীই অনুপস্থিত ছিলেন না। আমরা আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করছি। তাই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছি।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান মিয়া ও গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত বেশ কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণে কিছু কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি দেখা গেছে।
১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।