মুন্সীগঞ্জে কিশোরকে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এক ইউপি সদস্য ও তার শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আল মামুন ও তার শ্বশুর মিলন সরকার।
ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া ফরাজীকান্দি গ্রামে। ওই কিশোরের বাড়ি পাশের গ্রামে।
শনিবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরটি তার প্রেমিকার ফোন পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।
কিশোরীটি আল মামুনের স্বজন। তার সঙ্গে ছেলেটিকে দেখার পর তাকে জোর করে ছাদে নিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।
ওই কিশোরের বাবার করা মামলায় বলা হয়, তার ছেলেকে মারধর করেন বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আল মামুন, তার স্ত্রীসহ চার-পাঁচ জন।
রোববার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়ায় ফেসবুকে। এতে দেখা যায়, মামুন মেম্বার ও তার স্ত্রী ইট দিয়ে ওই স্কুলছাত্রের পায়ের হাড় ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
পিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানোর পর সোমবার দুপুরে ইউপি সদস্য আল মামুন ও তার শ্বশুর মিলন সরকারকে আটক করে পুলিশ।
কিশোর জানায়, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রায় দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকার ফোন পেয়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে সে ওই বাড়িতে যায়।
ইউপি সদস্য আল মামুনের দাবি, ওই কিশোর ডাকাতি করতে বাড়িতে ঢুকেছিল।
পরে মামুন আবার বলেন, মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কিশোর। এ জন্য যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে তিনি গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
তবে এই অভিযোগকে বানোয়াট উল্লেখ করে কিশোর বলেন, ‘মামুন মেম্বারের স্ত্রীর ও তার মোবাইলের কললিস্ট ও এসএমএস চেক করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে।’