রংপুরে এক কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মামলায় বলা হয়েছে, প্রথমে ওই কর্মকর্তা ও পরে তার দুই সহযোগী মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
রোববার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক রায়হানুল ইসলামসহ তিন জনের নামে রংপুর সদর থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এই ঘটনায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা করেছে পুলিশ। কিশোরীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, একটি মামলার আসামি ধরার ঘটনায় ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় ডিবি কর্মকর্তা রায়হানুলের। পরে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা।
রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নেন রায়হানুল। সেখানেই হয় ধর্ষণ।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় বাড়ির ভাড়াটিয়া মেঘলা বেগমকে। তাকে হারাগাছ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, রায়হানের সঙ্গে তার মেয়ে কথা বলত। মাঝেমধ্যে দেখাও করত। কিন্তু ওই কর্মকর্তা এমন ঘটনা ঘটাবেন তারা কল্পনাও করতে পারেননি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই ডিবি সদস্যের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভাড়াটিয়া মেঘলার বাড়িতে তারা ডেটিং করে। পরবর্তী সময়ে মেয়েটি বাসায় চলে যায়। কিন্তু ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা রাগ করলে মেয়েটি আবার ওই ভাড়াটিয়ার বাড়িতে যায়। তখন মেয়েটিকে আটকে রেখে আরও দুই জন ধর্ষণ করেন। এ সব ঘটনার কথা মেয়েটি পুলিশের টহল গাড়ির সামনে এসে বললে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, এএসআই রায়হানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির মুখোমুখি করা হবে।