ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারি নজরুল কলেজের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই জমিতে নির্মিত কলেজের সাতটি দোকান আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দখলে রেখেছেন।
অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান, কলেজের ফটকের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ৭০টির মতো দোকান রয়েছে। দক্ষিণ পাশের নিচ তলায় ৭টি দোকান ঘর জোর করে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত কয়েকজন দখল করে রেখেছেন।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, দুই বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে জোর করে দক্ষিণ পাশে দ্বিতীয় তলার পুরোটায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। তখন পুলিশকে মৌখিকভাবে জানালেও কোনো ফল মেলেনি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সুরুজ আলী মন্ডল বলেন, সরকারি কলেজের জায়গায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অফিস কোনোভাবেই কাম্য নয়। এভাবে জবরদখল শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করবে।
সরকারি নজরুল কলেজ ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত। গত বছর এটি সরকারি ঘোষণা করা হয়।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য ও দোকানকোঠা দখলকারী আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, দোকান বরাদ্দ বাবদ বিভিন্ন সময়ে রসিদের মাধ্যমে কলেজ তহবিলে সাত লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। তবু দোকান নির্মাণ করে দেয়া হয়নি। তাই নিজেই দোকানঘর গড়েছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, ‘কলেজের জায়গায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে পার্টি অফিস করেছি তা সকলেই জানে। এখানে দলীয় কর্মকাণ্ড হয়। এতে দোষের কিছু নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আলী বলেন, ওই কার্যালয় আওয়ামী লীগের নয়।
আশরাফুলসহ কয়েকজন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কলেজের জমি দখল করেছেন। দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে এরা আর এ রকম কাজ করতে পারবেন না।
পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কেউ কলেজের জায়গা দখল করে ভোগ করতে পারবে না। উচ্ছেদ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।