‘পুলিশ হেফাজতে’ মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মা সালমা বেগমের অনশন ভাঙিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশনে বসেন সালমা বেগম। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে তার সঙ্গে যোগ দেন পরিবারের ২০ সদস্য। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তার অনশন ভাঙান আরিফুল হক।
এসময় তিনি বলেন, শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
পুলিশ বলছে, ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরের কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যু হয়। তবে সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির কথা তারা শোনেননি।
পরিবারের অভিযোগ, বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে ফোন দিয়ে রায়হানকে ছাড়িয়ে আনতে তাদের কাছে ১০ হাজার টাকাও চাওয়া হয়। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই দিনের ঘটনায় ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা ও অদক্ষতার প্রমাণ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।
রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি সিলেট জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটের এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারীর কাজ করতেন।